ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোনের ওপর মার্কিন নাগরিকদের নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। দেশটিতে অনেকে শুধু মোবাইল ফোনেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। আয়ের পরিমাণ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে কোনো প্রভাব ফেলছে না। মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরোর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির অফিস অব পলিসি অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ গিউলিয়া ম্যাকহেনরির মতে, মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহকারীরা বর্তমানে এমন একপর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে তারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও করছে।
৫৩ হাজার পরিবারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যে দেখা যায়, তিন-চতুর্থাংশ মার্কিন নাগরিক এখনো তারের মাধ্যমে সরবরাহ করা ইন্টারনেট সংযোগই ব্যবহার করেন। এই সংখ্যা যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ, তথাপি এটি ২০১৩ সালের (৮২ শতাংশ) থেকে বেশ কম। অন্যদিকে, একই সময়ে শুধু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, এমন ব্যবহারকারীর পরিমাণ ১০ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বলা হচ্ছে, বর্তমানে প্রতি পাঁচটি পরিবারের একটি শুধু মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে। স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। নিউইয়র্কের মতো শহরে কম খরচে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের লাইফলাইন কর্মসূচিতে মোবাইল ইন্টারনেট যুক্ত করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে হয়তো এ সেবা শুধু মুঠোফোনেই পাওয়া যাবে।
একই কথা অবশ্য বাংলাদেশের বেলায়ও প্রযোজ্য। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) গত মার্চের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিমাণ নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন ৬ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছেন, যাঁদের ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সূত্র: মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ, বিটিআরসি।
0 Comments
Thanks For Comment Us,we try to be as responsive as soon as possible