ক্ষুধার রাজ্য বড়ই নিষ্ঠুর ও অমানবিক। পানি বা জঙ্গলে হাঙ্গর-তিমির ক্ষুধার নিষ্ঠুর শিকারও হার মানলো সভ্য সমাজ-রাষ্ট্রের ক্ষুধার কাছে। কথায় আছে, কাকে নাকি কাকের মাংস খায় না। অথচ মানুষ খায় মানুষের মাংস!
এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটছে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার একটি জেলে। সেখানে এক বন্দির মাংস খেয়ে বেঁচে থাকেন অন্য বন্দিরা।
যা ভাবতে গেলেও অবাক লাগে। ক্ষুধার তীব্রতা কোন পর্যায়ে পৌঁছালে মানুষ হিংস্র বাঘের মতো জ্যান্ত অপর মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর ছিড়ে ছিড়ে জীবন্ত মানুষকে খায় হায়েনার মতো। এটা আফ্রিকা বা অ্যামাজানের কোনো জঙ্গলি-জানোয়ার বাসিন্দারের ঘটনা নয়। ঘটনাটি আমাদের সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার একটা অংশ।
রুয়ান্ডা জাতিসংঘের বিভিন্ন কাজকর্মে জড়িত। দেশটিতে রয়েছে গিতারামা নামক একটি জেল। এই জেলটিকে কি বলা যায়, দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ানক কারাবাস নাকি নরকবাস! এমন এক জেল যেখানে যাওয়া মানে নৃশংস মৃত্যু কিংবা তার চেয়েও খারাপ কিছুর জন্য অপেক্ষায় থাকা। আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার গিতারামা জেলে বন্দিরা একে অপরকে খুন করে, তারপর মৃত ব্যক্তির মাংস খেয়ে বেঁচে থাকেন। এমনই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হলো আফ্রিকার এক দৈনিকে।
সেই গিতারামা জেলে ৫০০ থেকে ৬০০ বন্দি গারদের পেছনে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই জেলের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকে ৬ থেকে ৭ হাজার বন্দি। শোয়া-বসা তো দূরে থাক, ঠিকমতো দাঁড়ানোর জায়গাও থাকে না সেই জলের সেলে। খাওয়ার দেওয়া হয় মেরেকেটে ১০০ জনের জন্য, তাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র দুই বার। গায়ের জোরে সেইসব খাবার কেড়ে খেয়ে নেয় ৫০-৬০ জন বন্দি। অভুক্তই থেকে যান বাকিরা। প্রচণ্ড খিদেতে এরপর শুরু হয় খুনের পালা। খুন করার একমাত্র লক্ষ্য হল সহ বন্দিদের মাংস খেয়ে খিদের জ্বালা মেটানো। এভাবে সারাদিনে অন্তত ৭ জন বন্দি মারা যান। খুন করে মাংস খেয়ে চিত্কার করে বন্দিরা। দুর্বল হয়ে পড়লেই পরদিন সহ বন্দিরা তাকে মেরে ফেলে। এই খবর সামনে আসার পরই নড়চড়ে বসেছে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
এর সাথেই থাকবেন
সবাইকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন এবং সব সময়
Nilavi.Mywapblog.Com
এর সাথেই থাকুন।
5 Comments
Haire Manus
ReplyDeletehmm boss,,,likha ta pore kmn jani lagloo,,,,@Rasel,
ReplyDelete:mrgreen:
ReplyDeletegood writting...
ReplyDeleteধন্যবাদ Anik Ahmed ভালো থাকবেন ও আরো নতুন নতুন টিপস পেতে Blog এর সাথেই থাকবেন
ReplyDeleteThanks For Comment Us,we try to be as responsive as soon as possible