শুভ সন্ধ্যা।
আমি শাওন,আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামি তে যেন সব সময় ভালো থাকেনএই কামনা রইলো।
একা একা বসে রইলাম,তাই চিন্তা করছি,মধ্যবিত্ত আমার মত ছেলেদের নিয়ে কিছু লিখব।।
মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার ছেলেটা সাধারণত পরিবারের বড় সন্তান হয়। বাবা মা অনেক আশা নিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করায়।বাবা মা'র স্বপ্ন থাকে ছেলেটা একদিন ভাল চাকরি করবে, সংসারের হাল ধরবে। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করে যখন বেকার হয়ে বসে থাকে। তখন ছেলেটা আর মুখ দেখাতে পারে না বাবা মাকে।নিজে নিজে দুমড়ে মুচড়ে যায়।বেকার ছেলেটার হাতে টাকার পরিমান থাকে খুবই কম। বন্ধুবান্ধবের কাছে তার ধারের পরিমান দিনদিন বাড়তে থাকে।তার পৃথিবীটা দিনদিন ছোট হয়ে যায়। ধীরেধীরে রুদ্ধ হতে থাকে সব কয়টা দুয়ার।
বাবা বলে অনেক তো পড়ালেখা করলে।আর কতদিন বসে বসে খাবে। নিজে কিছু একটা করার চেষ্টা করো। তোমার সরকারী চাকরি করা লাগবে না।নিজে ভালভাবে বাঁচার চেষ্টা করো।ছেলেটা মাথা নীচু করে থাকে।বলার মত কোন ভাষা খুঁজে পায় না।
মা বলে -আর কত বসে থাকবি বাবা?
এবার কিছু একটা কর।সংসারের হালটা যে তোকেই ধরতে হবে।তোর বাবা তোর জন্যই সব জমিজমা বিক্রি করে দিয়েছে। বেকার ছেলেটা কিছু বলতে পারে না।বুক ফেঁটে বোবা কান্না আসে।
ছোটবোন বলে (যদিও আমার বোন নাই,তবে বোনের কথাটাও মন থেকে লিখলাম) ভাইয়া তুই কবে চাকরি করবি?তোর চাকরি হলে কিন্তু আমরা অনেক মিষ্টি খাবো।
বেকার ছেলেটা মুখে শুকনো হাসি দিয়ে বলে।এইতো চাকরি হয়ে যাবে। চিন্তা করিস না।
প্রেমিকা মন খারাপ করে বলে-বাড়ি থেকে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতেছে। কিছু একটা অন্তত করো।না হলে আমি চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবো।তখন মাথা ঠুকে মরবে। বেকার ছেলেটা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে।চোখের কোন বেঁয়ে অশ্রু ঝরে প্রেমিকা বুঝতে পারে না।
ছোটভাই হাসিমুখে বলে -ভাইয়া বিয়া করবা না।তোমার বয়স তো অনেক হয়ে গেলো। বাড়িটা খালি খালি লাগে। একটা বৌদি/ভাবী দরকার।তোমার বিয়েতে আমরা অনেক মজা করবো।ভাইয়া যে কোন একটা চাকরিতে ঢুকে পড়ো।
বেকার ছেলেটা এক টুকরা হাসি দিয়ে বলে।চেষ্টা তো করছি।আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর। সবই হবে। বেকার ছেলেগুলোকে কেউ বুঝতে চায় না।না প্রেমিকা না পরিবার। ছেলেটা রাতের আঁধারে চোখের অশ্রু ঝরায়। কেউ দেখতে পায় না, বুঝতে পারে না কেউ।চেষ্টার তো কোন ত্রুটি নেই।তবুও কেন চাকরি হয় না।চাকরির বাজার খুব কঠিন।মামা খালু নেই।তাই চাকরি নেই।ভালো একটা চাকরির আশায় ছেলেটা প্রহর গুনতে থাকে।ভাবে অবশ্যই একদিন ভালো চাকরি হবে।এত দুঃখ, কষ্ট, পরিশ্রম বৃথা যাবে না।অন্ধকারের নীচেই তো আলো থাকে। মেঘের পরেই তো সূর্য্য হাসে।
আমার এই লেখাটি সবার মনেই সমানভাবে সাড়া জাগাতে পারবেনা।চাকরি নামক সোনার হরিনের প্রতিক্ষায় যারা দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর সার্টিফিকেটের ফাইল হাতে ইন্টারভিউ বোর্ডের দ্বাড়ে দ্বাড়ে ঘুরছে একমাত্র তারাই বুঝতে পারবে আমার এই লেখার মর্মার্থ.....
সবাইকে ধন্যবাদ। সুস্থ্য থাকুন,ভালো থাকুন এবং সব সময় সাথেই থাকুন।
J ফেইসবুকে আমি J➤➽
******************************************************************************************************************************************************************....................
.................................................................
0 Comments
Thanks For Comment Us,we try to be as responsive as soon as possible